সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন

তাহিরপুরে মুয়াজ্জিন আব্দুল হাশিম হত্যার বিচার পাইতে এখনো ব্যার্থ হন ছেলে মাসুক আলী।

সুনামগঞ্জের দিনকাল ডেস্ক:
  • সংবাদ প্রকাশ : বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৩ Time View

 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

গত ২১ অক্টোবর ২০২৪ ইংরেজি রোজ সোমবার তাহিরপুরে মুয়াজ্জিন আব্দুল হাসিম হত্যার তথ্য সংগ্রহ কালে আব্দুল হাসিমের ছেলে মাসুক আলী সাংবাদিকদের সাথে এক সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন গত ২৪ আগষ্ট ২০২২ ইংরেজি রোজ মঙ্গলবার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন এর বড়গোপ টিলা গ্রামে আমার ছেলে শাকিব আহমেদ (৭)একটি ছাগল নিয়া বিবাদী জমির হোসেনের বাড়ির পাশে পরিত্যাক্ত জায়গায় ঘাস খাওয়াতে গেলে একই গ্রামের বিবাদী জমির হোসেনের ছেলে নাজির আহমেদ আমার ছেলে সাকিব কে অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং গরুকে মারধর করে। তখন আমার ছেলে সাকিব আহমেদ গরু নিয়ে পাহাড়ের অন্য এক দিকে লুকিয়ে বাড়িতে আসে।

 

 

আমার ছেলে সাকিব আহমেদ এসব বিষয় আমাকে খুলে বল্লে, আমি এ বিষয়কে স্হানীয় কিছু লোকদের জানাই, পরবর্তীতে এ বিষয় কে মীমাংসা করে দেয়ার জন্য স্হানীয় লোকজন পড়ের দিন ২৫/০৮/২০২২ ইংরেজি রোজ বুধবার সকাল ৮.০০ টায় উভয় পক্ষই সালিশে বসি, কিন্তুু সালিশ পক্ষ আবার ২৬ /০৮/২০২২ ইংরেজি রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭.০০ টায় সালিশ বৈঠক নির্ধারন করেন।

 

 

কিন্তুু ২৫ অক্টোবর বুধবার দিনই আমার স্ত্রী জোবাইদা খাতুন বিকাল ৫.০০ টায় টিউবওয়েলে পানি আনতে গেলে তাকে বিবাদী পক্ষ বিভিন্ন অশ্র দিয়ে মারধর শুরু করে, তখন চিৎকার শুনে আমি মাসুক আলী ও আমার পিতা আব্দুল হাশিম এবং আমার ছেলে সাকিব সেখানে দৌড়ে যাই, এবং কিছু সালিশ ব্যাক্তিবর্গকে বিবাদী পক্ষের অন্যায়ের বিষয় জানিয়ে আমরা চলে আসার পথে হঠাৎ করে কলা বাগান থেকে বিবাদী পক্ষ বেরিয়ে এসে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র  দিয়ে, আমি মাসুক আলী ও আমার স্ত্রী, আমার বাবা আব্দুল হাসিম,ও আমার ছেলে সাকিবের উপর বিবাদী পক্ষ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আগাত করতে তাকে।

 

 

তখন গ্রামের কিছু সালিশ ব্যক্তিবর্গ আমাদের চিৎকার শুনে সেখানে আসে, এবং আমাদের বেহাল অবস্থা দেখে আমার বাবা আব্দুল হাশিম কে চানপুর বাজারে চিকিৎসার জন্য পাটান, সেখানে পল্লী চিকিৎসক মোঃ আনোয়ার হোসেন আমার বাবা আব্দুল হাসিম কে পরিক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন, এবং আমি মাসুক আলী, আমার স্ত্রী জোবাইদা খাতুন, ও ছেলে সাকিব কে স্হানীয় লোকজন তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পাটিয়ে দেয়।

 

পড়ের দিন বৃহস্পতিবার আমি মাসুক আলী বাদী হয়ে ৫ জন ব্যাক্তিকে আসামি করে তাহিরপুর থানায় মামালা দায়ের করি।

 

 

তথ্য সংগ্রহ কালে আব্দুল হাসিমের ছেলে মাসুক আলী আরো বলেন ২০২২ সালে আমার বাবা আব্দুল হাসিম হত্যা কান্ডের বিচার পাইতে এখনো ব্যার্থ হই। তখনকার সময় এস আই মৃদুল চাকরিতে নতুন নিয়োগ হওয়ায় আমার বাবার হত্যার চার্জশিট সঠিক ভাবে দিতে অপারগতা স্বীকার করেন, এবং এখন পর্যন্ত আমার বাবার হত্যার শুধু তদন্তই চলছে।

 

এদিকে আমার ঘর বিবাদী পক্ষ জমির হোসেনের ঘরের সাথে তাকায়  ওরা আমাকে মামলা তুলতে বিভিন্ন ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে, এবং আওয়ামী লীগের দাপট খাটিয়ে আমাকে মামলা তুলার জন্য হয়রানি করছে, যদি মামলা না তুলি তাহলে তারা আমাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এবং প্রায় সময় বিবাদী পক্ষ দিনে ও রাতের বেলায় দা,লাটি,বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে আমার ছোট ছোট বাচ্চাদের ও আমাদের ভয় দেখায়।

এমতাবস্থায় আমি ভয়ে আমার বাবার জায়গা বিক্রি করে অন্য জায়গায় গিয়ে ঘর বানিয়ে বসবাস করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
themesba-lates1749691102