মোঃ তাজিদুল ইসলাম:
সিলেট-ছাতক রোডে পুনরায় ট্রেন চালুর দাবিতে রেলমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেলপথ মন্ত্রণালয় বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
ছাতক-দোয়ারাবাজার উপজেলায় প্রায় ৭ লাখ মানুষ বসবাস করছে। সিলেটের সাথে তাদের চলাচলের রাস্তা হচ্ছে সড়কপথ,নৌপথ ও রেলপথ।
তবে তারা সবচেয়ে বেশি যাতায়াত করেন সড়ক ও রেলপথে। বর্তমানে সড়ক পথে নিয়মিত যাতায়াত করেন এই দুই উপজেলার বাসিন্দারা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক-সিলেট রোডে প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ। সকল রেলপথে ট্রেন চলাচল করলেও এই রোডে ট্রেন চলাচল শুরু হয় নি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ট্রেনে যাতায়াতকারী এ অঞ্চলের সাধারণ যাত্রীরা। ছাতক শিল্পনগরী উপজেলা হিসেবে বিখ্যাত। ব্রিটিশ আমল থেকে এই উপজেলায় ব্যবসা-বানিজ্য চলে আসছে। এ হিসেবে ১৯৫৪ সালে সিলেট-ছাতক ৩৫ কিলোমিটার রেলপথ স্থাপিত হয়। ছাতক বাজার রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন চারটি ট্রেন সিলেটে যাতায়াত করতো। এসব ট্রেনে সিমেন্ট, পাথর,চুনাপাথর, তেজপাতা ও কমলাসহ বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল কম খরচে পরিবহন করা হতো।
সিলেট কল্যাণ সংস্থা,সিকস’র অঙ্গ সংগঠন সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে উক্ত স্মারকলিপিটি প্রদান করা হয়।
প্রাচীনতম ছাতক রেলপথে ট্রেন চলাচল না করায় বিপাকে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষজন। ট্রেন পরিবহনে স্বল্প ভাড়ার পরিবর্তে সড়কপথে তাদের দিতে হচ্ছে অধিক ভাড়া। সিলেট-ছাতক রোডে অল্প ভাড়ায় ট্রেনে নিরাপদে যাতায়াত করা যেত৷ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বেশি টাকা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সড়ক পথে। সিলেট স্টেশন থেকে ছাতক পর্যন্ত রয়েছে খাজাঞ্চি, সৎপুর ও আফজালাবাদ রেলওয়ে স্টেশন। এই রেলস্টেশনগুলোকেও আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। ছাতক-দোয়ারাবাজার উপজেলার সর্বস্তরের সাধারণ জনগণের কথা বিবেচনায় নিয়ে ছাতক-সিলেট রোডে ট্রেন চলাচল পুনরায় চালু করার জন্য দাবি জানান সংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দ।